নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিক বিভাগের চিকিৎসক-নার্স সহ ১১জন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় পুরো অর্থপেডিক বিভাগ লকডাউন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই বিভাগের দায়িত্বরত অন্য চিকিৎসক-নার্সদের আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। করোনা পজেটিভ রোগী তথ্য গোপন করে সেবা নিতে যাওয়ায় ওই বিপর্যয় হয়েছে দাবী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। শনিবার (০৬ জুন) দুপুর একটা থেকে অর্থপেডিক বিভাগ লকডাউন করে সল্পপরিসরে মেডিসিন বিভাগের সঙ্গে অর্থপেডিক সেবা চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে। শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিক বিভাগের সার্জন ডা. সুদীপ হালদার বলেন, করোনা পজেটিভ দুই রোগী তথ্য গোপন করে অর্থপেডিক বিভাগে ভর্তি হন। তারা কয়েকদিন ওই বিভাগে চিকিৎসা নেন। বিষয়টি জানতে পেরে অর্থপেডিক বিভাগের সব ডাক্তার, নার্স ও রোগীদের নমূনা সংগ্রহ করে মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। শনিবার রিপোর্টে ওই বিভাগের ডাক্তার ও নার্স সহ ১১জনের করোনা পজেটিভ হয়। এ কারনে পুরো অর্থপেডিক বিভাগ লকডাউন করা হয়েছে। স্বল্পপরিসরে অর্থপেডিক বিভাগ চালু রাখতে মেডিসিন বিভাগের সঙ্গে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তথ্য গোপন করে ভর্তি হওয়া দুই রোগীকে করোনা ওয়ার্ডে প্রেরন করার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে চিকিৎসকরা অভিযোগ করেন, সিভিল সার্জন কার্যালয়, সিটি করপোরেশন, পুলিশ হাসপাতাল সহ সব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করার কথা। সিভিল সার্জন সহ অন্যরা দায়িত্ব এড়ানোয় সবাই এখন শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভীর করছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে এই হাসপতালের সেবাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, করোনা পজেটিভ দুই রোগী ৭দিন ধরে অর্থপেডিক বিভাগে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তথ্য গোপন করায় সেখান থেকে একজন চিকিৎসক, ৭জন নার্স এবং ৩জন রোগী পজেটিভ হয়েছে। তাই অর্থপেডিক বিভাগ ৭দিনের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। আর অর্থপেডিক বিভাগ মেডিসিন বিভাগের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
Leave a Reply